বন্ধ মাসিক চালু করার ঘরোয়া উপায় বিস্তারিত জানুন- মাসিক নিয়মিত করার ব্যায়াম
অপ্রত্যাশিতভাবে মেয়েদের পিরিয়ড বা মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে বিষয়টি সত্যি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আপনারা যারা অপ্রত্যাশিত বন্ধ মাসিক চালু করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের সকলের জন্য খুবই উপকারী হবে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করার মাধ্যমে আপনাদের মূল বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে জানতে সুবিধা হবে। উক্ত বিষয়টি ছাড়াও আমি আমার আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য মেয়েদের মাসিক সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যেমন- অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার ব্যায়াম, অতিরিক্ত ব্লিডিং বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি।
জিরা পানি খেলে কি মাসিক হয়?
প্রাচীনকাল থেকে আমাদের রান্নাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে জিরা। অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে জিরা পানি পান করলে কি মাসিক হয় বা মাসিক নিয়মিত হয় কিনা চলুন তাহলে আজকে উক্ত বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
জিরার স্বাস্থ্য উপকারিতা-
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও প্রদাহ থেকে রক্ষা: জিরায় রয়েছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান, যা শরীরের ক্ষতি করে এমন ক্ষতিকর পার্টিকেল ধ্বংস করে। এতে প্রদাহ কমে আসে, ফলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমে।
হজমে সহায়ক: জিরা পান করলে পেট পরিষ্কার থাকে। হজমের জন্য অতি প্রয়োজনীয় এই গুণটি যেকোনো সময় উপকারী।
নারীদের হরমোন সমতা: কিছু গবেষণা বলে, এই মূল গুণাবলীর কারণে নারীর হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। ফলে, মাসিকের সময় অস্বস্তি বা ঋতুচক্রের অসুবিধা কমে।
আরো পড়ুনঃ কেমো থেরাপি খরচ কত বাংলাদেশে
জিরা পানি কি সত্যিই মাসিকের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে?
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বললে, এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট গবেষণা প্রমাণ করতে পারেনি যে, জিরা পানি সরাসরি মাসিকের সময়কে নিয়ন্ত্রণ করে বা ত্বরান্বিত করে। অনেকের অভিজ্ঞতা আলাদা হতে পারে, কিন্তু প্রাকৃতিক জিরার মূল উপাদানগুলি সরাসরি মাসিকের চক্রে পরিবর্তন আনতে সক্ষম নয়।
বন্ধ মাসিক চালু করার ঘরোয়া উপায়
অপ্রত্যাশিতভাবে মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের মাঝে অনেকের মনেই একটা দুশ্চিন্তা কাজ করে। তাই আপনাদের দুশ্চিন্তা দূর করতে আমি আমার আর্টিকেলটিতে বন্ধ মাসিক চালু করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি। সুতরাং আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে আজকের আর্টিকেলটির মূল আলোচ্য বিষয় কি হতে চলেছে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা বিস্তারিতভাবে শুরু করা যাক। বন্ধ মাসিক চালু করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে চলুন মাসিক বন্ধ হওয়ার মূল কারণগুলো সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারণা নেওয়া যাক।
হরমোনাল সমস্যা: শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় না থাকা কে বলা হয়ে থাকে হরমোনাল ইমব্যালেন্স আর মেয়েদের শরীরে হরমোনের সমস্যা বা হরমোনাল ইমব্যালেন্স থাকলে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
গর্ভনিরোধক ব্যবহার: কন্ট্রাসেপটিভ মেডিসিন বা ডিভাইসের এবং নানা ধরনের গর্ভনিরোধক গ্রহণের কারণে মাসিক বন্ধ হতে পারে। অনেক সময় গর্ভনিরোধক ওষুধ শরীরের হরমোনের স্তরে প্রভাব ফেলতে পারে।
পুষ্টি ও লাইফ স্টাইল এর পরিবর্তন: অসুস্থ কর খাবার খাওয়া, কম খাওয়া, অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা অনিয়মিত জীবনযাত্রার কারণে মাসিক বন্ধ হতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় এই বিষয়টি অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি বিষয়
প্রাকৃতিক কারণ: গর্ভাবস্থা বা স্তন্যপান চলাকালীনও মাসিক বন্ধ থাকতে পারে। অনেক সময় এটি স্বাভাবিক। অনেক সময় মেয়েদের মাসিক একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে বা সময়ে গিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত মেয়েদের ৪৭ থেকে ৫৪ বছর বয়সের মধ্যে মাসিক সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। একে মেনোপজ প্রক্রিয়া বলা হয়। এতে কোন দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। তবে অনেক সময় আমাদের শরীরে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের অসুস্থতার কারণেও অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যেমন- জরায়ুর সমস্যা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম।
আরো পড়ুনঃ মধুমেহ রোগের কারণ ও প্রতিকার
বন্ধ মাসিক চালু করার ঘরোয়া উপায়ঃ-
পুষ্টিকর খাবার জীবনযাত্রায় যুক্ত করুন: মাছ, দুধ, ডিম, ডাল, সবজি ও ফল এসব খান। হরমোনের ভারসাম্য জন্য এই খাবার জরুরি।
বেলেন্সড ডায়েট: অস্বাস্থ্যকর বা অপ্রয়োজনীয় খাবার জিনিস ত্যাগ করুন। হেলদি জীবনযাত্রা নিশ্চিত করুন।
ব্যায়াম ও যোগাভ্যাস: হালকা দৌড়ানো বা হাঁটাহাঁটি করা, যোগাসন করুন। এতে মানসিক চাপ কমে আসে শরীর সুস্থ থাকে এবং শরীরের হরমোন ভারসাম্য বজায় থাকে।
প্রাকৃতিক উপায় সহজভাবে অনুসরণ-
আদা, কালো মরিচ ও অন্যান্য খাবার: এগুলো শরীরের হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং পরিষ্কার রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ পায়ের তালু ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা
ভিটামিন ও মিনারেল: পরিপক্ব ফলমূল ও শাকসবজি খান। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
পানি পান: শরীরকে হাইড্রেশন রাখুন। এটি শরীরের সব কাজের জন্য জরুরি। ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
মাসিক নিয়মিত করার ব্যায়াম
কিছু কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করতে অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। চলুন তাহলে সেই সকল ব্যায়াম সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিয়ে নেওয়া যাক: যোগাসন ব্যায়ামের বিভিন্ন আসন যেমন ভুজঙ্গাসন, ধনুরাসন, ভদ্রাসন, উষ্ট্রাসন, এবং সর্বাঙ্গাসন পিরিয়ড নিয়মিত করতে অত্যন্ত কার্যকর।
হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, সাঁতার কাটা, জগিং, এবং দৌড়ানো শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং মাসিক চক্রকে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও হাঁটাচলা, লাফালাফি ও দৌড়ানো ইত্যাদি মেয়েদের মাসিক নিয়মিত করতে সহায়ক।অন্যান্য ব্যায়াম: সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, এবং ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়ামও মাসিক নিয়মিত করতে সহায়ক হতে পারে।
অতিরিক্ত ব্লিডিং বন্ধ করার কিছু ঘরোয়া উপায় কী কী?
পৃথিবীতে এমন অনেক নারী রয়েছে যাদের ব্লিডিং হয় তবে সেটি সাধারণ এর তুলনায় অতিরিক্ত মাত্রায় হতে থাকে। স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণে ব্লিডিং হলে এটি অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হতে থাকে। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে অতিরিক্ত বিল্ডিং বন্ধ করার কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।
অতিরিক্ত ব্লিডিংয়ের কারণ: হরমোনের অস্থিরতা, স্ট্রেস, বা শারীরিক দুর্বলতা এই ধরনের রক্তপাত বাড়াতে পারে। গর্ভনিরোধক বা অন্য ওষুধের কারণে এটি হয়।
আরো পড়ুনঃ ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে
অতিরিক্ত ব্লিডিং আমাদের প্রতিদিনের কাজের উপর প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত ব্লিডিং কিছু ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে বন্ধ করা যেতে পারে। যেমন কিছু আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, শাকসবজি, মটরশুটি, সিরিয়াল, পালং শাক, বিট, ডাল, কিসমিস ইত্যাদি। তবে সহজ ঘরোয়া উপায়ে যেমন আদা, দারুচিনি, লেবু মধু মিশ্রণ বা ভিটামিন C ও জিঙ্ক দিয়ে এই সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব। মানসিক চাপ রক্তের ক্ষতি করে।
যোগব্যায়াম ও ধ্যান করার অভ্যাস করুন। সুস্থ মন ও শরীর রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখতে সহায়ক। তা ছাড়া, পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম জরুরি। অতিরিক্ত ব্লিডিং কমাতে সুষম খাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের আয়রণ ও পুষ্টি নিশ্চিত করে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে হবে। ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার নিন। নিয়মিত পানি পানে শরীরের ক্লান্তি কমে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
নিয়মিত পিরিয়ড না হওয়ার কারণ কী কী?
মেয়েদের সাধারণত অস্বাস্থ্যকর লাইফ স্টাইলের কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হয়ে থাকে। এছাড়াও যে সকল কারণে মেয়েদের অনিয়মিত পিরিয়ড হয়ে থাকে আজকের আর্টিকেলে সেগুলো সম্পর্কে সঠিক এবং বিস্তারিত ধারণা প্রদান করার চেষ্টা করেছি বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মেয়েদের শরীরে হরমোনাল ইম ব্যালেন্স থাকার কারণেও মাসিকের সমস্যা বা নিয়মিত পিরিয়ড না হওয়া সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আজকাল এটি সকল মেয়েদের জীবনে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ নারীদের মধ্যেই এই সমস্যাটি দেখা দিয়েছে। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রমণ করে।
আরো পড়ুনঃ কিডনিতে পাথর হলে কি করে বুঝবো?
মহিলাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ হরমোনগুলো হল অ্যাস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন। এসব হরমোনের ভারসাম্য থাকলে পিরিয়ড নিয়মিত হয়। কিন্তু হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলে পিরিয়ড অনিয়মিত বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই পরিবর্তনগুলি সাধারণত বয়সের সাথে ঘটে।প্রাকৃতিকভাবে বা মহিলাদের শরীরে বিভিন্ন কারণে এমন হরমোন পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন, গর্ভাবস্থা, মেনোপজ, বা হঠাৎ করে বাড়ি বা চাকরির চাপের কারণে।
অতিরিক্ত ওজন বা খুব কম ওজন উভয়ই পিরিয়ডের জন্য খারাপ। ওজন অসামঞ্জস্য হরমোনের লব্য বা অস্বাভাবিকতা তৈরি করে। ওজন বাড়লে শরীরে এন্ডোজেন বা পুরুষ হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। অন্যদিকে ওজন কম থাকলে শরীরের হরমোনের উৎপাদন কমে যায়। এই সব পরিস্থিতিতে মাসিকের নিয়ম ভেঙে যেতে পারে। তাই, আপনার ওজন নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।
ওজন কমানো বা বাড়ানোর জন্য সুনির্দিষ্ট ডায়েট আর ব্যায়াম কার্যকর। মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্নতা বেশিরভাগ সময় হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। এটা অনেক সময় পিরিয়ডের অনিয়মের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যখন মনোভাব স্বাভাবিক থাকে না, তখন হরমোন নিয়ন্ত্রণে বাধা আসে। চাপ কমানোর জন্য আপনি যোগব্যায়াম, ধ্যান বা হাঁটাচলা করতে পারেন। শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শারীরিক পরিশ্রম না করা ভিটামিন ও পুষ্টির অভাব অনিয়মিত ঘুম ধূমপান বা অ্যালকোহল গ্রহণ করা থাইরয়েডের সমস্যা এবং জরায়ুর যেকোনো ধরনের সমস্যার কারণে অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য- বন্ধ মাসিক চালু করার ঘরোয়া উপায়
আপনাদের যদি হঠাৎ করে পিরিয়ড বা মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করে অবশ্যই আমার দেওয়া টিপস গুলো অনুসরণ করুন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। আশা করি আজকের বন্ধ মাসিক চালু করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কিত আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং কিছুটা উপকৃত হয়েছেন। আমার আর্টিকেলটির মাধ্যমে অন্যরাও যাতে করে উপকৃত হতে পারে সেই কারণে আপনারা দয়া করে আপনাদের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে আজকের আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url